বুদ্ধ ধর্মশিক্ষা দিয়েছেন পালি ভাষায়। আর তা সংরক্ষিত আছে পালি ত্রিপিটকে। আমি সেগুলো পড়তে চাই আমার মাতৃভাষা চাঙ্মা ভাষায়, বুঝতেও চাই সরাসরি চাঙ্মা ভাষায়, আর তা বলতেও চাই চাঙ্মা ভাষায়।
আর তাই আমি ওয়াম্পসার্ভার, নোটপ্যাড++ এবং পিএইচপির সাহায্যে নিজেই অনেক কষ্ট করে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম বানিয়ে ষষ্ঠ সঙ্গায়নের সবগুলো গ্রন্থকে চাঙ্মা ভাষার অক্ষরে রূপান্তরিত করেছি। অর্থাৎ চাঙ্মা অক্ষরে পালি ত্রিপিটক এখন সুলভ। এখন সেগুলো স্টাডি করা এবং বুঝার পালা।
তার জন্য পালি ভাষা শিখতে হবে, আমি তা শিখছি ভদন্ত করুণাবংশ ভান্তের কাছ থেকে। কিন্তু তা হচ্ছে পালি থেকে বাংলা। আমি চাই সরাসরি চাঙ্মা ভাষায় শিখতে।
এই লক্ষ্যে চাঙ্মা ভাষায় একটি পালি ভাষা শিক্ষার বই দরকার, আর দরকার একটি পালি-চাঙ্মা ডিকশনারি। এগুলো এখনো কেউ বানায় নি। কেউ যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে মনে হয় সেগুলো আমাকেই বানাতে হবে।
পালি-চাঙ্মা ডিকশনারির আগে দরকার একটি বাংলা-চাঙ্মা ডিকশনারি, আর বাংলা-চাঙ্মা ডিকশনারির জন্য আগে দরকার একটি চাঙ্মা ডিকশনারি, যা সম্পূর্ণ চাঙ্মা অক্ষরে, চাঙ্মা ভাষায়। কিন্তু এগুলোও কেউ এখনো বানায় নি। তাই মনে হচ্ছে আমাকেই যা করার করতে হবে।
আমি তাই চাঙ্মা অক্ষরে চাঙ্মা ডিকশনারি বানিয়েছি, আর এখন বাংলা-চাঙ্মা ডিকশনারির কাজ সম্পূর্ণ হলো। এই কাজে আশাতীত সহযোগিতা করে আমাকে আজীবন ঋণী করেই ছেড়েছেন ভদন্ত বিমুক্তিসার ভিক্ষু এবং ভদন্ত বিমলজ্যোতি ভিক্ষু। তাদের সহায়তা এজীবনে ভোলার নয়। তবে আমিও খুব খেটেছি, তাই আমার পরিশ্রমটাও খাটো করে দেখা যাবে না! আশা করি সবাই মিলে আমরা যা করেছি, তা পালি-চাঙ্মা ডিকশনারি লেখার কাজে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু কাজে দেবে।